Ads Top

কার্শিয়াং

 

কার্শিয়াং

অন্য রুট (বাংলা), ১৬/০৮/২০২৩ : দার্জিলিংয়ে  অনেকেই বেড়াতে যান, কিন্তু দার্জিলিং যাওয়ার পথে কার্শিয়াং এর অপার সৌন্দর্য্য তাঁরা আর দেখতে পান না। অনেক কিছু দেখার আছে ছোট্ট এই শৈল শহরে। পাহাড়, চা বাগান, ঝোড়া, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য কি নেই এখানে ? তাছাড়া এখানেই রয়েছে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর স্মৃতিধন্য বাসভবনটি। 

কার্শিয়াং হল দার্জিলিং জেলার অন্যতম মহকুমা শহর। তাই দার্জিলিং জেলার অন্যান্য শহরের তুলনায় ব্যস্ততা এখানে একটু হলেও বেশি। অনেকেই মিরিক দর্শন করে দার্জিলিং যান, সেই পথেও ছুঁয়ে যেতেই হয় এই কার্শিয়াং শহরকে। এবার একে একে  দেখে নেওয়া যাক কি কি দেখার আছে কার্শিয়াং  শহরকে ঘিরে। 


প্রথমেই যাওয়া উচিত হবে ঈগলস ক্র্যাগ দেখতে। চা বাগানের মধ্যে দিয়ে পথ উঠে গিয়েছে উর্দ্ধপানে। ওপরে রয়েছে একটি ওয়াচ টাওয়ার, ঈগলস ক্র্যাগ থেকে দেখা যায় দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়গুলিকে, একদিকে দেখা যায় সমতলের শিলিগুড়ি শহরকে। এখানকার গিদ্দা পাহাড় ভিউ পয়েন্ট মানুষের কর্মজীবনের সব রকম ব্যস্ততাকে ভুলিয়ে দেবে। কাছাকাছি রয়েছে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর বাসভবন। অসুস্থ অবস্থায় বেশ কয়েক দফায় নেতাজি এই বাড়িটিতে কাটিয়ে গিয়েছেন। তাঁর ব্যবহৃত সামগ্রীগুলিকে নিয়ে এখন সেই বাড়িতেই তৈরি হয়েছে নেতাজি স্মৃতি সংগ্রহালয়। এছাড়াও এখানে রয়েছে ডাউহিল ইকো পার্ক, সুন্দর সাজানো গোছানো বাগিচা। মাঝে মাঝেই এই বাগিচায় হানা দিয়ে যায় মেঘেদের দল।


 কার্শিয়াং শহরের কাছেই রয়েছে পাগলাঝোরা জলপ্রপাত, যার গতিপথ নিয়ে সারা বছর দুশ্চিন্তার শেষ নেই প্রশাসনের।  হেরিটেজ পার্কের বিশালাকার চিমনি, টিমলিং পার্ক। কার্শিয়াং থেকেই চলে যাওয়া যায় সিটং, লাটপাঞ্চারে, গিয়ে দেখে আসা যায় হিমালয়ান স্যালামান্ডার।  চলে যাওয়া যায় মংপুতে রবীন্দ্রনাথে স্মৃতি বিজড়িত বাসভবনটি দেখতে। যাওয়ার পথে পড়বে রংলি রংলিয়েট চা বাগানটি। পথে যে কত সৌন্দর্য্য অপেক্ষা করে থাকবে তার ইয়াত্তা নেই। তাই দার্জিলিং ভ্রমন অবশ্যই হবে কিন্তু তার ফাঁকেই কার্শিয়াং  ভ্রমণ আরও উপভোগ্য হয়ে উঠবে। 


কার্শিয়াং  জায়গাটিকে ঠিকমত উপভোগ করতে হলে অন্তত তিনদিন সময় লাগে। সে ক্ষেত্রে দুটি রাত্রি কার্শিয়াং শহরে কাটিয়ে সেখান থেকে দাৰ্জিলিং এর পথে চলে যাওয়ায় উচিত হবে। শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়াং শহরের দূরত্ব মাত্র ৩৩ কিলোমিটার, সময় লাগবে এক ঘণ্টার কিছু বেশি। শিলিগুড়ি জংশন অঞ্চল থেকে শেয়ারে জিপ বা অন্যান্য গাড়ি পাওয়া যাবে সারাদিন। এছাড়া দার্জিলিং যাওয়ার বাসে চলে যাওয়া যেতে পারে। শিলিগুড়ি থেকেই কার্শিয়াং যাওয়ার বাসও পাওয়া যায় তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস এলাকা থেকে। গাড়ি বুক করেও চলে যাওয়া যেতে পারে। এছাড়া টয় ট্রেন যাচ্ছে কার্শিয়াং  শহরে। 



হোটেল : মেরি বিলাস হোটেল - ৯৭৩৪১৫০৯০২, আস্থা হোটেল - ৯৮৩২০১৬৭২০, ফোর  ভেদাস - ৯৯৩২০৭৩০০০, ফ্যাব হোটেল প্রাইম গ্র্যান্ড প্যালেস - ৭০৪২৪২৪২৪২, কাইজার ভ্যালি হোটেল - ৮৬৯৫৪৩১৩১৩। 

বিজ্ঞাপনের জন্যে যোগাযোগ করুন - ৮৪২০৮০৭০২০ নম্বরে 




No comments:

Aaj Khabor. Powered by Blogger.