Ads Top

দুগ্গরধানী কাশ্মীর ভ্রমনের নয়া সংযোজন

দুগ্গরধানী কাশ্মীর ভ্রমনের নয়া সংযোজন


অন্য রুট (বাংলা), ০৮/০৭/২০২৩ : কাশ্মীর ভ্রমণকালে এবার একটা নতুন জায়গার নাম তালিকাভুক্ত করতেই হবে আর এই জায়গাটা হল রিয়াসি জেলার 'দুগ্গরধানী'। চারিদিকে পাহাড় আর মাঝখানে উপত্যকা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য তো আছেই, কিন্তু দুগ্গরধানীতে যেতে হবে অন্য একটা কারনে। 

জম্মু ও কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়ে সকলেই বেড়াতে যান জম্মু, কাটরা, বৈষ্ণদেবী, শ্রীনগর, গুলমার্গ, খিলানমার্গ, সোনামার্গ, পাটনিটপ, পহেলগাঁও এইসব জায়গায়। এই জায়গাগুলিতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের অফুরন্ত ভান্ডার থাকলেও কাশ্মীরবাসীদের সাথে আপনার ঠিকমত আলাপ হবে রিয়াসি জেলার এই দুগ্গারধানীতে গেলে। রিয়াসি জেলার খেরাল  পঞ্চায়েতের পানি ব্লকের  দুগ্গারধানী জায়গাটি কাশ্মীর ভ্রমনের অসাধারন এক সংযোজন। এখানে সরকারি উদ্যোগে তৈরি হয়েছে 'হাট'।  যেখানে কাশ্মীরি মহিলারা চোখের সামনেই তৈরি করে দিচ্ছেন নানারকম কাশ্মীরি (বিশেষ করে ডোগরা) রান্নার পদ।  


জিভে জল এনে দেওয়া সেই সব খাবার কিভাবে তৈরি করতে হয় সেইসব শিখিয়েও দিচ্ছেন এখানকার মহিলারা। ভুট্টার রুটি থেকে শুরু করে কাশ্মীরি ক্ষীর, স্পেশ্যাল ডোগরা ডাল, কাশ্মীরি লাস্যি, চাটনি, আচার, পাঁপড় কি নেই ! এই সব খাবার যেমন চেখে দেখা যাবে, তেমন শিখে নেওয়া যাবে নানারকম ডোগরা রেসিপিও। প্রায় ১,৫০০ জন মহিলা পর্যটকদের কাশ্মীরি খানা খাওয়াতে এবং তার রেসিপি শেখাতে ব্যস্ত থাকছেন এবং উপার্জনও করছেন। 


কাশ্মীরি খানা হাট-এর পাশাপাশি অন্য হাটে  রয়েছে কাশ্মীরি (বিশেষ করে ডোগরা) হস্তশিল্পের অফুরন্ত ভান্ডার। শিল্পীদের চোখের সামনেই দেখতে পাবেন, তাঁরা ওখানে বসেই হস্তশিল্পের কাজ করে চলেছেন। ওঁদের ভান্ডার থেকে কেনাকাটাও করে নিতে পারবেন ইচ্ছে মত।  দুগ্গারধানী  গ্রামে ভ্রমণ করলে কাশ্মীরিদের শিল্প, সংস্কৃতি সম্বন্ধে একটা ধারণা তৈরি হয়।  এক অপূর্ব অভিজ্ঞতার সাক্ষী  থাকা যায়।


জম্মু থেকে রিয়াসির দূরত্ব ৭৩ কিয়োলোমিটার আর শ্রীনগর থেকে রিয়াইর দূরত্ব হল ৯৭ কিলোমিটার। জম্মু বা শ্রীনগর থেকে গাড়ি বুক করে পথের সৌন্দর্য দেখতে দেখতেই অনায়াসে চলে যাওয়া যাবে রিয়াসি জেলার দুগ্গারধানী গ্রামে। 

No comments:

Aaj Khabor. Powered by Blogger.