রাজ্যে আংশিক লক ডাউন, ফের বড় ক্ষতির মুখে পর্যটন ব্যবসা
শুনশান দার্জিলিংয়ের ম্যাল |
অন্য রুট, ভ্রমণ সংবাদ, 05/01/2022 : করোনা সংক্রমণ রুখতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যে আংশিক লক ডাউন ঘোষনা করেছে। বন্ধ রাখা হয়েছে পর্যটন। পশ্চিমবঙ্গে পর্যটন বন্ধ থাকায় ফের চাপে পড়লেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন প্রতিবেশি রাজ্যগুলির পর্যটন ব্যবসায়ীরাও।
করোনা সংক্রমণের গ্রাফ উর্দ্ধমুখী দেখেই পশ্চিমবঙ্গে 3 তারিখ থেকে আংশিক লক ডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। যার ফলে রাজ্যে পর্যটন সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এর ফলে পর্যটনের সাথে যুক্ত ব্যবসায়ীরা ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন।
এর আগে দীর্ঘকাল লক ডাউন থাকায় অনেকটা ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের। কিন্তু নতুন বছরের গোড়ায় করোনার তৃতীয় ঢেউ যে আবার পর্যটন ব্যবসাকে স্তব্ধ করে দেবে এটাই অনেক ভ্রমণ ব্যবসায়ীরা আঁচ করে উঠতে পারেন নি আগে থেকে। ফলে রাজ্যে আংশিক লক ডাউন ঘোষনা হতেই একের পর এক বুকিং বাতিল করে ফিরে যেতে হয়েছে পর্যটকদের। মাথায় হাত পড়েছে হোটেল ব্যবসায়ী থেকে আপামর ভ্রমণ ব্যবসায়ীদের।
লক ডাউন ঘোষনা হতেই শুনশান হতে শুরু করেছে সুন্দরবন, দীঘা, মন্দারমনি, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ডুয়ার্স, দার্জিলিং কিংবা কালিম্পং এর মত জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলি।
শীত্কালের ভরা মরসুমে পর্যটনকেন্দ্রগুলি এক্কেবারে ফাঁকা। চিত্রটা সাগর থেকে পাহাড় সর্বত্রই এক।
সুন্দরবন এলাকায় শীত্কালেই সবচেয়ে বেশি পর্যটকের ভীড় দেখা যায়। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, মালদহ জেলার পর্যটনও শীত নির্ভর। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন এবারের মত শেষ হয়ে গেল বেড়াতে যাওয়ার শীতকালীন মরসুম। এর মধ্যে একমাত্র জেগে রয়েছে গঙ্গাসাগর। তীর্থযাত্রার মধ্যে একমাত্র গঙ্গাসাগরই শেষ ভরসা। কিন্তু গঙ্গাসাগরের ওপর নির্ভরশীল নয় বেশির ভাগ পর্যটন সংস্থা।
পশ্চিমবঙ্গে আংশিক লক ডাউন ঘোষনা করে দেওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন প্রতিবেশি রাজ্যগুলির পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। সেই সব রাজ্যগুলির মধ্যে সিকিম, আসাম, ওড়িষা, ঝাড়খন্ড এবং বিহারও রয়েছে। এই রাজ্যগুলিতে বহু মানুষ হোটেল ব্যবসার সাথে যুক্ত, গাড়ি বা ভ্রমণ প্যাকেজ ব্যবসার সাথে যুক্ত। পর্যটনের ওপর ভরসা করে থাকা বহু মানুষ যাঁরা হয়ত হস্তশিল্পী, সমস্যায় পড়েছেন তাঁরাও। পুরীতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে বাঙালি পর্যটকের সংখ্যা।
পর্যটনের সাথে যুক্ত এখন সবাই তাকিয়ে আছেন আগামী মরসুম অর্থাৎ মার্চ-এপ্রিলের গ্রীষ্মের মরসুমের দিকে। পর্যটকেরাও তাই খোঁজ খবর করছেন সামার সিজন ট্র্যাভেল ডেস্টিনেশন নিয়ে।
No comments:
Post a Comment