প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের খোঁজে মুসৌরি
অন্য রুট, দেশ, 05/10/2021 : সৌন্দর্য, সৌন্দর্য আর শুধুই নিখাদ সৌন্দর্যের খোঁজ যাঁরা করেন, তাঁদের হিমালয়ের অতলশ্পর্শী সৌন্দর্যের কিছুটা দেখার জন্য অবশ্যই একবার মুসৌরি ঘুরে আসা উচিত বলে মত দিয়েছেন অনেকেই।
এককালে উত্তরাখন্ডের মুসৌরি বেড়াতে যেতেনে বহু বাঙালি। স্রেফ শরীর স্বাস্থ্য ফেরাতে পাহাড়ের এই জায়গায় গিয়ে থেকে আসতেন বেশ কিছু দিন। অনেক বাঙালির বাড়িও ছিল মুসৌরি শহরে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর মুসৌরি। হরিদ্বার বা দেরাদুন থেকে অনায়াসে চলে যাওয়া যায় মুসৌরি শহরে। উচ্চতা 6578 ফুট। দেরাদুন থেকে মুসৌরির দুরত্ব 35 কিলোমিটার এবং দিল্লী থেকে দুরত্ব 290 কিলোমিটার । দেরাদুন থেকে অনবরত বাস যাচ্ছে মুসৌরি শহরে।
1815 সালে গর্খাদের সাথে যুদ্ধ করে ইংরেজরা দেরাদুন ও মুসৌরি উদ্ধার করেছিল, 1919 সালে উদ্ধার করেছিল সাহারানপুর এলাকা। প্রচুর মুসুর ডালের চাস হত বলে জায়গার নামও হয়েছে মুসৌরি। অবস্থান উত্তরাখন্ড রাজ্যের দেরাদুন জেলায়।
এবার একবার জানিয়ে দিই মুসৌরি বেড়াতে গেলে কি কি দেখবেন। মুসৌরি শহরের ব্যস্ততম জায়গা হল ম্যাল রোড। এখানেই শহরের বেশিরভাগ অভিজাত হোটেলগুলি রয়েছে। মুসৌরি ভ্রমণের অন্যতম সেরা দ্রষ্টব্য হল কেম্পটি ফল্স। প্রায় 1368 ফুট ওপর থেকে বিশাল জলপ্রপাত নেমে এসেছে। নিচে স্নান করার পুল রয়েছে। পিকনিক স্পট বললেও ভুল হবে না।
মুসৌরির রোপওয়ে বেশ সুন্দর। চারদিকের সুন্দর উপত্যাকা দেখতে দেখতে ওপরে উঠে যাওয়া। ম্যাল রোড থেকে মাত্র 2 কিলোমিটার দুরত্বের মধ্যেই রয়েছে মুসৌরির দ্বিতীয় উচ্চতম পাহাড় চূড়া গান হিল পয়েন্ট। এই পয়েন্টে আসতে হলে শেষের দিকটা অবশ্য কিছুটা ট্রেক করে বা হেঁটেই উঠতে হবে। কিছুটা কস্ট হয়ত হবে কিন্তু ওপরের ভিউ পয়েন্ট থেকে একদিকে গোটা মুসৌরি শহর আর এক দিকে গোটা দুন উপত্যাকাকে পাখির চোখে দেখতে পাওয়া যায়। দারুন উপভোগ্য সে দৃশ্য। ঐ পয়েন্ট থেকেই দুরে দেখ্ত্ওয় পাওয়া যাবে বন্দরপুঞ্চ, গঙ্গোত্রী, শ্রীকন্ঠ ও পিথওয়ারা শৃঙ্গগুলিকে। এছাড়াও দৃশ্যপটে ধরা দেবে অনেক চেনা অচেনা শৃঙ্গগুলি।
মুসৌরির পথে বেড়াতে বেরিয়ে দেখে আসতে পারেন ক্যামেলস রক। পাহাড়ের গায়ে বিশালাকার পাথরগুলো এমনভাবে আছে যে দেখে মনে হবে একটি উঠ বুঝি বেস রয়েছে সেখানে। মুসৌরি বেড়াতে গিয়ে মুসৌরি লেক, লাইব্রেরি বাজার একে একে সবকিছুই দেখে নিতে হবে। মুসৌরি শহরেই রয়েছে জর্জ এভারেস্টএর একটি বাংলো বাড়ি। একদিন সেটিও দেখে আসুন। এছাড়াও রয়েছে একটি ক্রাইস্ট চার্চ।
নাগটিব্বা জায়গাটি বেশ সুন্দর। উত্তরাখন্ডে অবস্থিত নিম্ন হিমালয়ের সর্বোচ্য চূড়া। তবে ট্রেকিংএর অভিজ্ঞতা না থাকলে সাইট সিয়িং থেকে বাদ দেওয়াই ভাল হবে। তবে মুসৌরি শহর থেকে 6 কিলোমিটার দুরে 2275 মিটার উচ্চতায় লালটিব্বা খুব সুন্দর একটি জায়গা। ভিউ পযেন্টে রয়েছে একটি টেলিষ্কোপ। সেই টেলিষ্কোপে চোখ রাখলেই দেখতে পাবেন বন্দরপুঞ্চ শৃঙ্গ, কেদারনাথ ও বদ্রীনাথ।
মুসৌরিতে দর্শনীয় রয়েছে আরও অনেক কিছুই। যেমন ক্লাউডস এন্ড পয়েন্ট, ঝারিপানি জলপ্রপাত, শ্নো এডভেঞ্চার জোন, ভাট্টা ফল্স, জ্বালাদেবী মন্দির, 11 কিলোমিটার দুরের বেনগ অভয়ারণ্য, রবারস কেভ এই রকম আরও কত কিছু।
মুসৌরির হোটেল - লা কাসা 7710928057, হোটেল অমর 9810369305, লা হিল ভিস্তা 9872799695, হোটেল সিটি ক্যাসল 01352630162
No comments:
Post a Comment