স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে সমুদ্রের নিচে প্রাকৃতিক খিলান আবিস্কার বিশাখাপত্তনমে
অন্যরুট (বাংলা), ভ্রমন সংবাদ, ০৪/০২.২০২১ : বিশাখাপত্তনমে সমুদ্রের তলায় ডুব দিয়ে প্রাকৃতিক খিলান আবিস্কার করলেন বেশ কয়েকজন স্কুবা ডাইভার। এমনিতেই দেশে করোনা আবহে পর্যটন বন্ধ রাখা ছিল সর্বত্র, এডভেঞ্চার ট্যুরিজম তো একেবারেই বন্ধ ছিল। কিন্তু স্কুবা ডাইভিং শুরু হতেই অত্যুৎসাহী কিছু স্কুবা ডাইভার বিশাখাপত্তনমে ঋষিকোন্ডা বিচের কাছে বঙ্গোপসাগরের তলায় ডুব দিয়ে আবিস্কার করে ফেললেন পাথরের প্রাকৃতিক খিলান বা আর্চ।
একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশাখাপত্তনমে কাছে ঋষিকোন্ডা বিচে লিভ ইন এডভেঞ্চার্স নামে একটি সংস্থার চার ডাইভার সমুদ্রে নামেন। যখন তাঁরা সমুদ্রের গভীরে অতল জলের আহ্বানে সাঁতরে বেড়াচ্ছিলেন, তখনই সমুদ্রের অন্তত ৩০ ফুট নিচে তাঁরা একটি প্রাকৃতিক খিলান দেখতে পান। ওই দলের নেতা বলরাম নাইডু বলেন, "সমুদ্রের বিচের এত কাছাকাছি যে প্রাকৃতিক একটা খিলান আমরা দেখতে পাব তা ভাবতেই পারিনি, ওই খিলানকে ঘিরে সামুদ্রিক প্রাণীদের বসবাস গড়ে উঠেছে দেখলাম। যাই হোক, ভবিষ্যতে ওই খিলান এখানকার স্কুবা ডাইভিং করতে আসা পর্যটকদের কাছে একটা আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠতে চলেছে।"
নাইডুর মতে জলে নেমে মাত্র ৩০ ফুট গভীরে গিয়েই ওই খিলান দেখতে পাওয়া যাবে। ওই খিলান পর্যন্ত যে কেউই পৌঁছাতে পারবে। যারা খুব ভাল সাঁতার জানে না, অথবা যারা স্কুবা ডাইভিং সদ্য শিখেছে, তারাও ওই খিলান পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবে। গভীর সমুদ্রের ওই প্রাকৃতিক খিলানটি ১ মিটার উঁচু এবং দেড় মিটার মত চওড়া। ঠিক এরকমই আর একটা খিলান পাওয়া গিয়েছিল মাঙ্গামারিপেটা বিচের কাছে, ভূবিজ্ঞানী বা সমুদ্র বিজ্ঞানীরা যেটা দেখে বিধান দিয়েছিলেন যে সেটা প্রায় ১০ হাজার বছরের পুরোন একটি খিলান। এই খিলানটিও হয়ত ততটাই প্রাচীন হবে।
No comments:
Post a Comment