Ads Top

উইকএন্ড সফরে কোগ্রাম থেকে ঘুরে আসুন

 

উইকএন্ড সফরে কোগ্রাম থেকে ঘুরে আসুন
মা মঙ্গলচন্ডী মন্দির 

অন্য রুট (বাংলা), পূর্ব বর্দ্ধমান , ২৬/০২/২০২১ :  অনেক সময় অনেকের হাতে লম্বা ছুটি থাকে না, তাই তখন সবাই ছোট ছুটির গন্তব্যগুলোকেই খুঁজে বেড়ান। শহর থেকে কাছেপীঠের মধ্যে এমন একটা গন্তব্য খুঁজে বেড়ান, যেখানে পরপর দুটো দিন নিখাদ ছুটির আনন্দ উপভোগ করা যেতে পারে। আজ এরকমই একটা জায়গার খোঁজ আপনাদের দিতে পারি। জায়গাটার নাম হল কোগ্রাম।জায়গাটির  অবস্থান হল পূর্ব বর্ধমান জেলার উজ্জানি নামে একটি জায়গায়।

মায়ের বিগ্রহ 

পূর্ব বর্ধমানের এই জায়গাটি একেবারে গ্রামাঞ্চল। অজয় নদের ধারে চতুর্দিকে সবুজ গালিচা বিছানো ধান  জমির মাঝে ছোট্ট একটি গ্রাম উজ্জানির এই কোগ্রাম।  গোটা এলাকা অদ্ভুতরকম নিরিবিলি এবং নিস্তব্ধ, তার মাঝেই শুধু পাখীদের ক্ষণেক  কলকাকলি ছাড়া আর কিছু নেই. ধান জমির বুক থেকেই দু একটা ইঁট ভাটার  চিমনীগুলো উঁচু হয়ে আকাশে মুখ তুলে দাঁড়িয়ে সভ্য জগতের বার্তা দিয়ে যাচ্ছে। গ্রামের পাশ দিয়ে নীরবে বয়ে চলেছে অজয় নদ. এখন  জল অনেক কম, তবে বর্ষাকালে এই নদের রূপ  অনন্য , রীতিমত সম্ভ্রম আদায় করে নেয়। 

অজয় নদ 

এই কোগ্রামেই আছে একটি সতীপীঠ। বলা হয় এখানেই অজয় নদের ধারে সতীমাতার হাতের কনুই পড়েছিল। তাই এই কোগ্রাম  জায়গাটি একটি মহাতীর্থস্থানও বটে। কথিত আছে মা মঙ্গলচন্ডীর কৃপায় ধনপতি সওদাগর তাঁর ডুবে যাওয়া সপ্তডিঙ্গা ফিরে পেয়েছিলেন। সেই মা মঙ্গলচন্ডীর স্বপ্নাদেশ পেয়েই এই কো গ্রামে মন্দির স্থাপিত হয়েছিল এবং মায়ের নিত্যপূজা শুরু হয়েছিল। যিনি পূজা শুরু করেছিলেন, তাঁর ২৪তম  বংশধর সোমনাথ রায় এখন নিয়মিত  মায়ের পূজা করে চলেছেন। এখানেই পূজিতা হন মা মঙ্গলচন্ডি এবং ভৈরব সর্ব সিদ্ধিদাতা বাবা কপিলেশ্বর ।  সোমনাথবাবু বললেন, "মা অভীষ্ট ফল প্রদায়িনী। এখানে এসে একাগ্র মনে কেউ কোনো কিছু কামনা করলে তার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়।. প্রতি বছর এখানে দুর্গাপূজায় মা মঙ্গলচন্ডিকাই দুর্গারূপে পূজিতা হন।"

কোগ্রামে  অলস দুপুর 

মন্দিরের পাশেই অজয় নদের গা ঘেঁষে রয়েছে কবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের বসতবাড়ি। পায়ে পায়ে দেখে নেওয়া যাবে সেই বাড়িটিকেও। কোগ্রামে যেতে হলে গুসকরা স্টেশনে নেমে বাসে নতুনহাট যেতে হবে, সেখান থেকে কিছুটা দূরেই এই কোগ্রাম জায়গাটি রয়েছে। পিচ রাস্তা থেকে গ্রামের ভিতরে যাওয়ার জন্যে টোটোভ্যান পাওয়া যায়। বর্ধমান স্টেশনে এসেও  সেখান থেকে নতুনহাট যাওয়ার বাস পাওয়া যায়, নতুনহাট  থেকে রিক্সা নিয়েও চলে আসা যাবে এই কোগ্রামে।  এখানে রাত্রিবাসের জন্যে একটি ছোট অতিথিশালার ব্যবস্থা হয়েছে। সেখানে থাকা অথবা মায়ের অন্নভোগের জন্যে যোগাযোগ করতে পারেন সোমনাথবাবুর সাথে - ৯৭৩৫৮৩৬৪৫৩ নম্বরে। নতুনহাট  শহরে অবশ্য রাত্রিবাসের জন্যে হোটেল পাওয়া যেতে পারে। 

No comments:

Aaj Khabor. Powered by Blogger.