হাতিদের নিয়ে কেরালার প্রায়শ্চিত্ত, গড়ে উঠছে নতুন করে হাতি অভয়ারণ্য
অন্যরুট (বাংলা), কুট্টুর, কেরালা, ০৯/১১/২০২০ : কেরালা এবার প্রায়শ্চিত্ত করতে চলেছে। কেরালার বনভূমিগুলিকে এবার হাতিদের স্বর্গরাজ্য তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরালা সরকার।
কিছুদিন আগেই কেরালার বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষের হাতে বেশ কয়েকটি হাতি নির্যাতিত হয়ে খুন হওয়ার খবর আসছিল, যার জন্যে দুনিয়ার পশুপ্রেমীদের কাছে ব্যাপক বদনাম কোড়াতে হয়েছিল কেরালাকে। কিন্তু নিজেদের সেই বদনামকে এবার সুনামে পরিবর্তন করতে কোমর বেঁধে নামতে চলেছে কেরালা। কেরালার রাজধানী শহর কুট্টুর বনভূমি মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে, আর এই কুট্টুর বনভূমি দিয়েই কেরালা কাজ শুরু করতে চলেছে।
কুট্টুরে হাতিদের অভয়ারণ্য গড়ে তুলতে নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে কেরালা সরকার আর এজন্য মোট ১০৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেরালা সরকার। কুট্টুরে রয়েছে মোট ১৭৬ হেক্টর বনভূমি। এখানে রয়েছে মোট ১৬টি হাতি। অন্যান্য অরণ্য থেকে এই অভয়ারণ্যে আরও ৫০টি হাতি নিয়ে আসা হচ্ছে। এখানে হাতিদের জন্যে যাতে পর্যাপ্ত খাবার থাকে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে তার। এই বনভূমিতে হাতিদের প্রজনন যাতে হয় সেদিকে নজর রাখা হবে। বনভূমিতে হাতিদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা করা হয়েছে। যাতে হাতিরা এখানে অবাধে বিচরণ করতে পারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেই ব্যাপারেও।
কেরালা সরকার এই প্রকল্পটি শুরু করতে চলেছে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে। গোটা অরণ্যে বনকর্মীদের কড়া নজরদারীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই বনভূমিতে সব রকম ইকো সিস্টেম পালন করা হবে। বনভূমির মধ্যে থাকবে যথেষ্ট পরিমাণে জলাধার এবং সেই জলাধারগুলিকে যুক্ত করা হবে নেইয়ার ড্যামের সাথে। হস্তিশাবকদের ওপরেও নজরদারী চালানোর ব্যবস্থা থাকবে সিসিটিভির মাধ্যমে।
প্রকল্পে বলা হয়েছে, বনভূমির প্রান্তে থাকবে একটি পশু হাসপাতাল এবং সেই হাসপাতালে থাকবে অত্যাধুনিক চিকিৎসার সবরকম উপকরণ। থাকবে পর্যাপ্ত পশুচিকিৎসকের বাহিনী। বনভূমিতে প্রবেশের মুখে থাকবে একটি এলিফ্যান্ট মিউজিয়াম, একটি মাহুতদের ট্রেনিং সেন্টার, হাতিদের ওপর গবেষণা করার জন্যে ছাত্র ও প্রকৃতি প্রেমীদের জন্যে একটি গবেষণাগার, একটি প্রশাসনিক ভবন, একটি প্লাজা, ক্যাফেটেরিয়া, কটেজ এবং একটি ওয়াচ টাওয়ার। হাতিদের সুরক্ষা দেওয়ার সাথে সাথে কেরালা সরকার পর্যটনকেও এভাবেই গুরুত্ত্ব দিয়ে দেখতে চাইছে।
No comments:
Post a Comment