Ads Top

পর্যটন আছে, পর্যটক নেই, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

পর্যটন আছে, পর্যটক নেই, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের
শুনশান পর্যটনকেন্দ্র 


অন্য রুট, (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ২২/১১/০২০ : করোনা আবহে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর খুলে গিয়েছে দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলি। কিন্তু খুলে গেলেও পর্যটকের দেখা নেই কোথাও। মাথায় হাত পর্যটন ব্যবসায়ীদের।

দেশে দীর্ঘদিন লক ডাউনের জেরে সবকিছু বন্ধ ছিল। তারপর একে  একে  অনেক কিছুকেই খুলে দেওয়া হলেও   পর্যটনকে খোলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল না। কিছুদিন আগেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যগুলি ধাপে ধাপে খুলে দিয়েছে দেশের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোকে, অবশ্য বেশ কিছু শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

স্টেশনগুলোতে কুলিরাও অপেক্ষায় 

কিন্তু হলে হবে কি ? পুরো দস্তুর ট্রেন এখনো চালু হয় নি সব জায়গায়। যার জন্যে অনেকেই বেড়াতে যাওয়ার কথা ভাবতে পারেন নি। শুধু তাই নয়, গোটা পৃথিবীতে এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের ওষুধ আবিষ্কৃত হয় নি। তাই বাইরে কোথাও বেড়াতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসার কোনো মানেই হয় না। তাই বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যানিং আপাতত বন্ধ রেখেছেন অনেকেই। অনেক বেড়াতে যাওয়ার জায়গায় মূল আকর্ষণগুলি বন্ধ থাকায় অনেকেই সেখানে বেড়াতে যাচ্ছেন না। যেমন পুরীতে জগন্নাথদেবের মন্দির ডিসেম্বর মাসের শেষ দিন পর্যন্ত বন্ধ থাকছে, তাই পুরীতে সেবাবে কেউ বেড়াতে যাচ্ছেন না.।

করোনা আবহে দীর্ঘদিন লক ডাউন চলার ফলে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন, ব্যবসা বা প্রফেশনেও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে অনেক মানুষকে, সেই ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করতে হয়ত আরও এক বা দুই বছর লেগে যেতে পারে। মানুষের হাতে অর্থের যোগান অনেকটাই কমে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই বেড়াতে যাওয়ার কথা ভাবতেই পারছেন না। 

দার্জিলিং-এর ম্যালেও সেই পরিচিত ভীড় নেই 

এইসব কারণেই পর্যটন ব্যবসাতেও মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। সাংঘাতিক ক্ষতির মুখে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা ভাবতেই পারছেন না, কিভাবে এই ক্ষতিপূরণ হবে ! আমাদের দেশে এমন কিছু রাজ্য বা জায়গা আছে, যেখানকার মানুষ সম্পূর্ণভাবে পর্যটন ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল, সেইসব জায়গার মানুষের অবস্থা আরও শোচনীয়। তাঁরা ভাবতেই পারছেন না কিভাবে তাঁদের জীবন জীবিকা তাঁরা চালাবেন আগামী দিনগুলোতে। 

No comments:

Aaj Khabor. Powered by Blogger.