Ads Top

দেশের প্রথম গ্লাস স্কাই ওয়াকে দুর্দান্ত রোমাঞ্চ অপেক্ষা করছে

দেশের প্রথম গ্লাস স্কাই ওয়াকে দুর্দান্ত রোমাঞ্চ অপেক্ষা করছে


অন্য রুট, পেলিং, সিকিম, ১২/১১/২০২০ :  এই প্রথমবার আপনি  সুযোগ পেতে চলেছেন গ্লাস স্কাই ওয়াকে হাঁটাচলা করার। গ্লাস স্কাই ওয়াক হল এক সেতু, যা পাহাড়ের একটি চূড়া থেকে অতল খাদের ওপর ঝুলে চলে গিয়েছে আর এক পাহাড়ের চূড়ায়। আর যার ওপর দিয়ে আপনি হাঁটবেন, সেটা হল কাঁচের তৈরি। এই প্রথমবার আপনি গ্লাস স্কাই ওয়াকে ওঠার সুযোগ  পাবেন, কিন্তু তার জন্যে আপনাকে ভিসা জোগাড় করতে হবে না, বিদেশেও যেতে হবে না।

গ্লাস স্কাই ওয়াক প্রথম জনপ্রিয় হয়েছিল চীনে। কিন্তু আমাদের দেশের প্রথম স্কাই ওয়াক তৈরি হয়েছে সিকিমের পেলিংএ।পশ্চিম সিকিমের পেলিং জায়গাটি এমনিতেই খুব সুন্দর জায়গা। মাঝে মাঝে মনে হয় কাঞ্চনজঙ্ঘা শৃঙ্গ যেন একেবারে হাতের মুঠোয় এসে গিয়েছে। তাছাড়া পেলিং জায়গাটাতে সাইট সিয়িং অনেকগুলি, যার জন্যে দিন দুয়েকের পেলিং ভ্রমন খুব উপভোগ্য হয়ে ওঠে।



পেলিং থেকে সামান্য দূরত্বে রয়েছে চেনরেজিগ বৌদ্ধস্তূপ। এই চেনরেজিগের উল্টোদিকে পাহাড়ের শীর্ষে তৈরি হয়েছে এই নতুন গ্লাস স্কাই ওয়াক। একটি পাহাড়ের চূড়া থেকে কাঁচের এই সেতু চলে গিয়েছে আর এক পাহাড়ের চূড়ায়। আপনি হেঁটে যাবেন কাঁচের ওপর দিয়ে;  নিচে তাকালেই পরিস্কার দেখতে পাবেন হাজার হাজার ফুট নিচের অতল খাদ।. অনেক নিচ দিয়ে সরু রুপালি ফিতার মত আপন মনে বয়ে চলেছে তিস্তা আর রঞ্জিত নদী দুটি। আপনি তখন শূন্যে। নিচে তাকাতে ভয় লাগতেই পারে, তখন তাকবেন সামনের দিকে, দেখবেন দিকচক্রবালে অসামান্য অপার্থিব সৌন্দৰ্য্যের ডালি নিয়ে  মাউন্ট পান্ডিম আর কাব্রু সহ কাঞ্চনজঙ্ঘা। সে এক ঘোর লাগানো মুহূর্ত হয়ে উঠবে !

তবে হ্যাঁ, যদি ভার্টিগো থাকে বা স্বল্পেই জ্ঞান হারানোর অভ্যাস থাকে, তাহলে এড়িয়ে যাবেন এই সেতু। না হলে চারপাশ দেখতে দেখতে হাতে রেলিং ধরে এক পা এক পা করে এগিয়ে যাবেন কাঁচের  সেতু পথ ধরে। তবে সাবধান, এই অঞ্চলে মাঝে মাঝেই ঝোড়ো বাতাস বইতে থাকে। এই সেতুতে চড়ার  সময় সকাল ৮টা  থেকে বিকেল ৫টা  পর্যন্ত।. সেতু পথের মোট দৈর্ঘ্য আড়াই কিলোমিটার। টিকিট মূল্য ৫০ টাকা জনপ্রতি।

No comments:

Aaj Khabor. Powered by Blogger.