Ads Top

ভাইজাগ - আরাকু (পর্ব - ২)

অন্যরুট, ১৮/১১/২০১৯ : (পর্ব - ২)  আসুন এবার ভাইজাগের  কিছু হোটেলের খবর দিই,  রামকৃষ্ণ বীচের ধারের হোটেলগুলি একটু দামি। আর বীচ থেকে ভিতরের দিকের হোটেলগুলি একটু সস্তা। 
শীতের ভ্ৰমণ : ভাইজাগ - আরাকু (পর্ব - ২),

হোটেল ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট - 0124 398 6376 ((১৮০০/- - ১৯০০/-)
এসকেএমএল বীচ গেস্ট হাউস - 098483 55131 (১০০০/-)
বীচ ভিউ গেস্ট হাউস -  083744 63155 (১৩০০/-)
মধুর ইন - 089125 44556 (১১০০/-)
মহালক্ষী রেসিডেন্সি - 089125 69123 (১২০০/-)
হোটেল লক্ষী রেসিডেন্সী - 089125 65533 (১০০০/-)
হোটেল ভি বি গ্র্যান্ড  - 076809 95759 (১০০০/-)
হলিডে ইন সি ভিউ গেস্ট হাউস - 081068 63274 (২১০০/-)
দ্য সুপ্রিম হোটেল - 0891 666 5666 (২০০০/-)
হোটেল উইন্সর পার্ক - 077997 70450 (১৯০০/-)
বিচ বিয়া হলিডে হোম - 92466 76949  (২০০০/-)
দ্য বীচ হলিডে হোম -89854 38999 (২২০০/-)
ভামুসেট্রেল ভাইজাগ ফ্যালকন - 098865 54691 (৪৭০০/-)
দ্য গেটওয়ে হোটেল বীচ - 0891 662 3670 (৫৩০০/-)
নভোটেল বিশাখাপত্তনম বরুন বীচ - 89128 22222 (৬৯০০/-)

# সিজন অনুযায়ী দামের হেরফের হয় তাই যাওয়ার আগে ফোন করে দাম জেনে নেবেন, বা হোটেল বুক করে নেবেন। হোটেলে বুকিংএর ক্ষেত্রে পেমেন্ট করবেন ব্যাংকের মাধ্যমে, আর রিসিট সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন। আপনার নামেই হোটেলে রুম বুক করা হয়েছে কিনা তা জেনে নেবেন, রুম  বুক করে হোটেল কতৃপক্ষ মেল্ করে সেটা জানিয়ে দেয়, সেই মেলের কপি সঙ্গে নিয়ে যাবেন। হোটেলের ভাড়ার  সাথে জিএসটি কত পারবে সেটা আগে থেকেই জেনে রাখবেন। 

ভাইজাগ থেকে আরাকু ভ্যালির দূরত্ব কমবেশি ১১৫ কিলোমিটার। গাড়িতে যেতে সময় লাগে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা। ভাইজাগ থেকে সড়কপথে গাড়িতে অথবা রেলপথে আরাকু ভ্যালিতে যাওয়া যায়; সড়ক পথে বাসে বা যে কোনো ট্র্যাভেল এজেন্সি থেকে গাড়ি ভাড়া  নিয়ে চলে যাওয়া যেতে পারে। আরাকুতে এক রাত্রি থাকলে দুদিনের, আর দুই রাত্রি থাকলে তিনদিনের গাড়ি ভাড়া নিয়ে নেবে ট্র্যাভেল এজেন্সি। সাথে ধরে নেবে ড্রাইভারের থাকা খাওয়া খরচ, পার্কিং চার্জ, টোল ট্যাক্স ইত্যাদি। 
রেলপথে ভাইজাগ ও আরাকুর দূরত্ব প্রায়  ১২৯ কিলোমিটার। 


বিশাখাপত্তনম  - খিরানদুল প্যাসেঞ্জার ভাইজাগ ছাড়ে সকাল ৬:৫০ মিনিটে। আরাকু পৌঁছায় সকাল ১০:৫০ মিনিটে। 
বিশাখাপত্তনম - আরাকু স্পেশ্যাল ভাইজাগ ছাড়ে সকাল ৮:১০এ আর আরাকু পৌঁছায় সকাল ১১:৩০ মিনিটে।
বিশাখাপত্তনম - খিরানদুল এক্সপ্রেস ভাইজাগ ছাড়ে রাত্রি ৯:৩৫এ, আরাকু পৌঁছায় রাত্রি ১২: ৪৮ মিনিটে। 
এই ট্রেনগুলি সপ্তাহে রোজ ছাড়ে।  ভাইজাগ থেকে আরাকু যাওয়ার পথে পরবে বোরা কেভস বা বোরাগুহালু। ট্রেনে করে আরাকু গেলে মাঝখানে বোরা  কেভস দেখতে নেমে যেতে হবে, তাই বেশির ভাগ পর্যটক এই পথে ভাইজাগ থেকে গাড়ি ভাড়া করে আনেন। ভাইজাগ থেকে গাড়ি ভাড়া করে আনলে সুবিধেটা এই, যে আরাকুকে কেন্দ্র করে অন্যান্য যে সব জায়গাগুলি আছে বা সাইট সিয়িং করার আছে সেগুলি অনায়াসে দেখে নেওয়া যায়; 

আরাকু, পূর্বঘাট পর্বতের ওপর অসাধারন এক পর্যটনকেন্দ্র। উচ্চতা প্রায় ৩০০০ ফুট; অরণ্যে আবৃত আরাকু ভ্যালি ছিল এক সময় আদিবাসীদের আবাস ; এখনো তাদের দেখা যায়; প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আরাকু  এতটাই মনোরম যে আদর করে আরাকুকে অনেকে অন্ধ্রের উটি বলে ডাকেন। আসুন একটু ঘুরে ফিরে  দেখে নেওয়া যাক আরাকুর এই পাহাড়ে কি কি দেখার আছে;
আরাকুর মুখ্য আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে সুন্দর একটি উদ্যান, নাম পদ্মপুরাম গার্ডেন্স। আরাকুতে  এসে অবশ্যই দেখতে হবে ট্রাইবাল মিউজিয়ামটি। এখানকার আদিবাসীদের হস্তশিল্প ও তাঁদের জীবন যাপন কেমন সেই সম্বন্ধে একটা ধারণা তৈরি হতে পারে। এখানে আদিবাসীদের নিজস্ব ধিমসি নাচের আয়োজন করা হয়, পর্যটকেরা উপভোগ করেন সেই নাচ; আরাকুতে রয়েছে কফি গার্ডেন, যেখানে কফির ইতিহাস তো পাবেনই, সেই সাথে স্যান্ডউইচ  সহযোগে কফির কাপে চুমুক দিতে মন্দ লাগবে না; 

আরাকুর কাছাকাছি রয়েছে বেশ কয়েকটি জলপ্রপাত। গোষ্ঠানি নদীর ধারা থেকে উৎপন্ন হয়েছে আরাকুর কাছে অনন্তগিরির কাটিকি জলপ্রপাত। জায়গাটি বোরা কেভসের কাছে। তাই এই কাটিকি জলপ্রপাত আর বোরা কেভস একসাথেই ঘুরে নিন; পাহাড়ের অনেক উঁচু থেকে নামছে জালের ধারা স্নান সেরেও নিতে পারেন, আর এখানেই ছুটির দিনে একটু চুটিয়ে পিকনিক সেরে নিন সপরিবারে। খাওয়া দাওয়াতও নাহয় রেস্টুরেন্টে না হয়ে খোলা আকাশের নিচে প্রকৃতির বুকেই হোক, মন্দ লাগবে না; অনন্ত গিরির আশেপাশে আরো কয়েকটি জলপ্রপাত আছে. ইচ্ছে হলে ঘুরে নিতেই পারেন। সেখানেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য কিছুমাত্র কম নয়;

পদ্মপুরাম গার্ডেন থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে রয়েছে রানা জিল্লেদ জলপ্রপাত। পাহাড়ের ওপর থেকে জল আছড়ে পরছে নিচে আর সেখানেই তৈরি হয়েছে একটি সুন্দর লেক, কিন্তু শত ইচ্ছে করলেও সেই লেকের জালে সাঁতার কাটার কোনো অনুমতি নেই, কেননা এই জলের ধারা থেকেই আরাকুতে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়; আরাকু জায়গাটি সত্যিই খুব সুন্দর, একরাত্রি না থেকে বরং এখানে দুই রাত্রি / তিন দিনের সফর করতে পারলেই ভাল হয়; ফেরার পথে যাব বোরা কেভস। আরাকুর হোটেলগুলি সম্বন্ধেও জানাবো পরের পর্বে। (চলবে) 



No comments:

Aaj Khabor. Powered by Blogger.